আরিকান নিউজ এজেন্সির বরাতে ইকনা জানিয়েছে, ইউনিসেফের অংশীদারিত্ব ও তহবিল সংগ্রহ বিষয়ক পরিচালক কার্লা হাদ্দাদ মারদিনি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে বলেন, বর্তমান বাজেট সংকট বিগত কয়েক বছরের উন্নয়নকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, শ্রেণিকক্ষ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও সেবা কমে যাওয়ায় শত-সহস্র রোহিঙ্গা শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মারদিনি জানান, শিক্ষা, বিশুদ্ধ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যসেবা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় ইউনিসেফ এখন টিকে থাকার সীমায় পৌঁছে গেছে।
তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক সহায়তা অব্যাহত না থাকলে ২০২৬ সালের শুরুতেই বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দেবে এবং বৈশ্বিক দাতাদের সহায়তা অর্ধেকে নেমে আসতে পারে — যদিও বর্তমান সাহায্যও প্রকৃত চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়।
ইউনিসেফ কর্মকর্তার মতে, ২০১৭ সালের পর থেকে রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টির হার এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। অর্থ সংকট যদি চলতেই থাকে, তবে জনাকীর্ণ শিবিরগুলোতে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।
মারদিনি বলেন, “ইউনিসেফ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, কিন্তু ব্যাপক বাজেট ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা এবং দাতাদের উদাসীনতার সবচেয়ে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুদের।”
এর আগেও ইউনিসেফ সতর্ক করেছিল যে, আন্তর্জাতিক তহবিল হ্রাস অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু চিরতরে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। 4311102#